4thPillar


প্রথম লোকসভায় কলকাতার তিন মহারথী

কুশল সিংহরায়April 29, 2024
প্রথম লোকসভায় কলকাতার তিন মহারথী

''সেই সময় সংসদের দুই কক্ষে এমন মানুষেরা ছিলেন, যাঁদের নিয়ে গর্ব করতে হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, রাজ্যসভায় বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু। অন্যদিকে লোকসভায় তাঁর বন্ধু মেঘনাদ সাহা।''


একথা যিনি লিখছেনতিনি নিজেই ভারতীয় সংসদের এক রত্ন। ভাষণের জাদুতে সম্মোহিত করতেন লোকসভাকে। পণ্ডিত ও বাগ্মী হীরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়।

 কলকাতা উত্তর পূর্ব কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে জিতে দিল্লি গিয়েছিলেন কমিউনিস্ট নেতা হীরেন্দ্রনাথ বা হীরেন। সেই ভোটে এই কলকাতা থেকে ভোটাররা পাঠিয়েছিলেন বিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহাকে। অখণ্ড ভারতের সাবেক রাজধানী কলকাতার গরিমা বাড়িয়ে রাজনীতির আর এক মহারথীও সেই বছর সংসদে গিয়েছিলেন। তিনি শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়।

সালটা ১৯৫১। পরাধীন দেশের মালিন্য তখনও লেগে মহানগরের গায়ে। দুর্ভিক্ষদাঙ্গাসংগ্রামের তাপে ঝলসে যাওয়া কলকাতার শরীর থেকে ঔপনিবেশিক শাসনের গন্ধ যায়নি।

 সঙ্কটসমস্যার পাহাড় ডিঙোতে চাওয়ার স্বপ্ন নিয়ে খণ্ডিত ভারত প্রথম সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ১৯৫১ সালের ডিসেম্বরে নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হয়। চলেছিল মাস তিনেক। ১৯৫২ সালে নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পর নতুন সরকার তৈরি হয়।

মেঘনাদের জয়

শহর কলকাতায় এখন মাত্র দুটি কেন্দ্র। কলকাতা উত্তর ও দক্ষিণ। কিন্তু প্রথম সাধারণ নির্বাচনে শহরে ছিল চার চারটি কেন্দ্র-- উত্তর পূর্বউত্তর পশ্চিমদক্ষিণ পূর্ব ও দক্ষিণ পশ্চিম। এর তিনটি কেন্দ্র থেকে জিতে দিল্লি পাড়ি দিয়েছিলেন তিন দিকপাল। এদের মধ্যে দু জন দেশের দুটি সম্পূর্ণ বিরোধী রাজনৈতিক মতধারার অগ্রণী পুরুষ। তৃতীয় জন তদপুরি বিশ্ববরেণ্য পদার্থবিজ্ঞানী।

গত শতকের পঞ্চাশের দশকে রাজনীতির ময়দানে কংগ্রেসের একচেটিয়া প্রাধান্য। শক্তিশালী বিরোধী শক্তি সেভাবে দানা বাঁধেনি। কমিউনিস্টসমাজবাদী বা অতি দক্ষিণপন্থীরা নিজেদের মতো কংগ্রেস বিরোধিতা চালিয়ে যাচ্ছিল। তবু জওহরলাল নেহরুর নেতৃত্বে কংগ্রেস যে ক্ষমতায় আসতে চলেছেসে ব্যাপারে বিশেষ সংশয় ছিল না জনমানসে।

অধ্যাপক মেঘনাদ সাহা তখন বিজ্ঞানচর্চায় ব্যস্ত। ছাত্রদের পড়াচ্ছেনগবেষণায় সময় কাটছে তাঁর। বিশিষ্ট এই পদার্থবিজ্ঞানীর নাম বিদেশেও পৌঁছেছে। সেই মানুষটি ভোটযুদ্ধে নামবেনতাও আবার কংগ্রেসের বিরুদ্ধেএমনটা গোড়ায় আঁচ করা যায়নি। তিনিও বিশেষ রাজি ছিলেনএমনটাও নয়।

সদ্য স্বাধীন একটি দেশের শিক্ষা থেকে নদী পরিকল্পনাউদ্বাস্তু পুনর্বাসন কিংবা দারিদ্র দূরীকরণনানা বিষয়ে গভীর ভাবনা ছিল ডঃ সাহার। এসব বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করার জন্য তাঁর সংসদে যাওয়া প্রয়োজনএকথা বিজ্ঞানীকে অনেকেই বলছিলেন। তবে স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা শরৎচন্দ্র বসুর পরামর্শ মেঘনাদের সিদ্ধান্তকে সহজ করে দিল। তিনি ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন।

কংগ্রেস চেয়েছিলেনএমন ডাকসাইটে মানুষটি তাদের টিকিটেই ভোটে লড়ুন। কিন্তু প্রগতিশীল শিক্ষক কংগ্রেসের কিছু ভাবনার সঙ্গে সহমত ছিলেন না। বিশেষ করে চরকা বা খাদির মতো বিষয়ে। তাই নির্দল প্রার্থী হিসেবে তিনি কলকাতা উত্তর পশ্চিম আসনে চ্যালেঞ্জ করলেন কংগ্রেসকে। পেলেন বামপন্থীদের সমর্থন।

 মেঘনাদের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন শহরের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব প্রভুদয়াল হিমতসিংকা। স্যারের পক্ষে প্রচারে হইহই করে নেমে পড়লেন শিক্ষকছাত্রবিদ্যোৎসাহী মানুষজন। ১৯৫১ সালের সেই নির্বাচনে ৫৩ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছিলেন অধ্যাপক। তিনি পেয়েছিলেন ৭৪ হাজার ১২৪ ভোট। জয়ের ব্যবধান প্রায় ২৩ হাজার।

১৯৫২ সালের মে মাসে সাংসদ হিসেবে দিল্লিতে শপথ নিয়েছিলেন মেঘনাদ সাহা। তাঁর প্রথম বিশদ বক্তৃতার বিষয় ছিল শিক্ষা। বর্ষীয়ান সাংসদ রেণু চক্রবর্তী স্মৃতিচারণায় বলেছেন, ''তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নেহরু মুগ্ধ হন পদার্থবিদের ভাষণে। নিজের কক্ষে ডেকে নেন তাঁকে। দীর্ঘ আলোচনা করেন শিক্ষা নিয়ে। কথা দেনশিক্ষানীতি তৈরির সময় এই ভাবনাকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।''

এখনকার রাজনীতিতে বিরোধীদের শায়েস্তা করার জন্য মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়। সরকার কোনও ইতিবাচক কাজ করলে বিরোধীরা তাকে সাধুবাদ দিতে পারে না। একে অপরের বিরুদ্ধে প্রচারেপ্রকাশ্যে কুকথা বলেন আজকের শীর্ষ রাজনীতিকরা। ভারতীয় সংসদের ঐতিহ্য ও পরম্পরার সঙ্গে যে আজকের ছবিটা বেমানানতার প্রমাণ ছিল নেহরু ও সাহার সম্পর্ক।

সংসদের হিরে

পরস্পরবিরোধী রাজনৈতিক নেতৃত্বের এমন সুসম্পর্কে উদাহরণ আরও রয়েছে। একই কথা বলা যায় হীরেন মুখোপাধ্যায় সম্পর্কে।

 অসামান্য বাকপটুতায় প্রধানমন্ত্রী-সহ সরকারপক্ষের সাংসদদের আবিষ্ট করে রাখতেন কমিউনিস্ট পার্টির এই অবিসংবাদী নেতা। তাঁর কথা কান পেতে শুনতেন বুর্জোয়া, প্রতিক্রিয়াশীলঅতি দক্ষিণপন্থার প্রতিনিধিরাও। 

 ইতিহাস থেকে পুরাণে অনায়াস যাতায়াত করতে করতে যে তুখোড় বাক্য সাজিয়ে তুলতেন হীরেন্দ্রনাথ, তার কোনও জুড়ি সাত দশক পরেও কি সংসদ পেয়েছে!

১৯৫১ সালের ভোটে কলকাতা উত্তর পূর্ব আসনে সিপিআই প্রার্থী হীরেন মুখোপাধ্যায় সহজেই জেতেন। ৭১ হাজার ৯৭০ ভোট পেয়েছিলেন তিনি। ৫০ শতাংশের বেশি ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের বিজয়বিহারী মুখোপাধ্যায় পেয়েছিলেন তাঁর অর্ধেক ভোট। জয়ের ব্যবধান প্রায় ৩৬ হাজার ভোট। 

 সেই নির্বাচনে হিন্দু মহাসভা ও ভারতীয় জনসঙ্ঘ নির্বাচনের ময়দানে ছিল। কলকাতা উত্তর পূর্ব আসনে হিন্দু মহাসভার প্রার্থী দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় ছিলেন তৃতীয় স্থানে।

 বিদ্যাচর্চার শিখরে থেকেও অধ্যাপক মুখোপাধ্যায়ের নজর ছিল দেশের খেটে খাওয়া মানুষের উপর। কমিউনিস্ট পার্টি ভাগ হয়েছেরাজ্যের বাম আন্দোলনের মূল স্রোত হয়ে উঠেছে মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টি। 

 এই দলের নেতা ও মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে জ্যোতি বসু থেকে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, প্রত্যেকে সিপিআই নেতা হীরেন মুখোপাধ্যায়ের সুপরামর্শের কথা নিজেদের স্মৃতিচারণায় বলে গিয়েছেন।

হীরেন্দ্রনাথের প্রয়াণের পর তাঁর সম্পর্কে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব বলেছেন, ''মনের গভীরে দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য সহানুভূতি লালন করতেন তিনি। আমাকে বলতেনসরকার চালাতে হবেকিন্তু মূল উদ্দেশ্য ভুলে গেলে চলবে না।''

কলকাতার তালতলা এলাকায় জন্ম হীরেন্দ্রনাথের। এই শহর জানে তাঁর প্রথম সবকিছু। এই শহরই তাঁকে পৌঁছে দিয়েছে জাতীয় রাজনীতির কেন্দ্রীয় মঞ্চে। 

 আত্মলিখন 'তরী হতে তীর'-এ পণ্ডিত হীরেন্দ্রনাথ লিখেছেন, ''নানা দিক থেকে এই আজব শহরের কিন্তু একটা বিশেষ মোহ আছেচরিত্র আছেকিছু পরিমাণে অসামান্যতা আছেযা মনে হয় অন্য অনেক কম-দুর্ভাগ্য শহরের নেই। আজকের কলকাতার দিকে তাকালে কান্না আসেরাগ হয়সব-কিছু ওলট-পালট করবার যে ঝোঁক এখন অল্পবয়সের প্রায় সবাইয়ের চিন্তায়তার কারণ খুঁজতে মনের মধ্যে হাত্ড়ে বেড়াতে হয় না।''

এই স্বীকারোক্তি প্রমাণ রেখে যায়সড়কফুটপাত আর ট্রাম লাইনে মোড়া শহর নয়শহরের মানুষের জন্য তাঁর মনে কতটা জায়গা ছিল। এই কান্নাএই রাগের স্বগতোক্তিতে জনদরদি মানুষটি সামনে চলে আসেন। কলকাতাও তাঁকে ফেরায়নি। বারবার পণ্ডিত হীরেন্দ্রনাথকে পাঠিয়েছে সংসদে। পরাজয় মাত্র একবারই১৯৭৭ সালে। জরুরি অবস্থাকে সিপিআই সমর্থন করায় জনতা মুখ ফিরিয়েছিল।

১৯৫১-৫২ সালের প্রথম নির্বাচনে দেশজুড়ে বড় জয় পেয়েছিল কংগ্রেস। ৪৮৯ আসনে ভোট নেওয়া হয়। কংগ্রেস জেতে ৩৫৭ কেন্দ্রে। কিন্তু কলকাতার চারটি আসনের মাত্র একটিতে তারা জয় পায়।

প্রথম সাধারণ নির্বাচনে কলকাতা দক্ষিণ-পশ্চিম আসনে কংগ্রেস প্রার্থী অসীমকৃষ্ণ দত্ত জয়ী হন। পরাজিত করেন নির্দল প্রার্থী বঙ্কিমচন্দ্র ভট্টাচার্যকে। জয়ের ব্যবধান ছিল ৪৪ হাজার ভোটের কিছু বেশি। ৫১ শতাংশের বেশি ভোট পান অসীমকৃষ্ণ।

১৯৫৭ সালে দ্বিতীয় সাধারণ নির্বাচন। কলকাতায় আসনের বিন্যাস বদলে যায়। কলকাতা উত্তর পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্ব আসন লুপ্ত হয়ে যায়। মধ্য কলকাতা ও পূর্ব কলকাতা আসন তৈরি হয়। থেকে যায় আগের কলকাতা দক্ষিণ পশ্চিম ও উত্তর পশ্চিম কেন্দ্র।

মধ্য কলকাতায় বিপুল জয় পান সিপিআই প্রার্থী হীরেন্দ্রনাথ। নলিনাক্ষ সান্যালকে তিনি প্রায় ৬৭ হাজার ভোটে পরাজিত করেন। ১৯৬২ সালে এই আসনে ফের জেতেন হীরেন্দ্রনাথ। কংগ্রেসের বলাইচন্দ্র পালকে প্রায় ৪৪ হাজার ভোটে পরাজিত করেন।

 কলকাতা পূর্ব আসনে সিপিআইয়ের সাধন গুপ্ত কংগ্রেসের রণদেব চৌধুরীকে হারিয়ে জয়ী হন। কলকাতা উত্তর-পশ্চিম আসনে কংগ্রেসের অশোককুমার সেন হারিয়ে দেন নির্দল প্রার্থী মোহিত মৈত্রকে। কলকাতার দক্ষিণ-পশ্চিম আসনে জয়ী হন নির্দল প্রার্থী বীরেন রায়। তিনি গতবারের বিজয়ী কংগ্রেসের অসীমকৃষ্ণ দত্তকে পরাজিত করেন।

১৯৬২ সালের লোকসভা নির্বাচনে কলকাতা দক্ষিণ-পশ্চিম আসনে জেতেন সিপিআইয়ের ইন্দ্রজিৎ গুপ্ত। তিনি কংগ্রেসের ইসমাইল ইব্রাহিমকে পরাজিত করেন প্রায় ১১ হাজার ভোটে। কলকাতা পূর্ব আসনে সিপিআইয়ের রণেন্দ্রনাথ সেন হারিয়ে দেন কংগ্রেসের শৈলেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়কে। কলকাতা উত্তর-পশ্চিম আসনে কংগ্রেস প্রার্থী অশোক সেন হারিয়ে দেন সিপিআইয়ের স্নেহাংশুকান্ত আচার্যকে।

শ্যামাপ্রসাদের উত্থান

কোনও বাঙালি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হননি। কিন্তু বাঙালি রাজনীতিকরা ভারতীয় রাজনীতির নতুন নতুন পাতার শিরোনাম হয়ে উঠেছেন।

 দুরন্ত ব্যক্তিত্বসম্পন্নসাহসের নয়া সংজ্ঞা লিখে যাওয়া সুভাষচন্দ্র বসু কিংবা জনপ্রিয়তার শিখরে থাকা চিত্তরঞ্জন দাশ থাকবেন শিরোনামেরও উপরে। এরপর কত নামঅধুনাপ্রয়াত কত নেতার কাহিনি আজ রূপকথা হয়ে গিয়েছে।

সময়ের দূরত্বে এলেবেলে গল্পও রূপকথা হয়ে যেতে পারে। কিন্তু সময় যাকে দূরে ঠেলতে পারেনিচলতি সময়ের রাজনীতিতে যিনি ক্রমে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছেনতিনি শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু জাতীয়তাবাদী রাজনীতির উত্থানের সঙ্গে সঙ্গে তিনিও প্রবলভাবে চর্চায়।

কলকাতা ১৯৫১ সালে এই তারকার জন্ম দিয়েছিলএটা বললে ভুল হবে। সেই বছর কলকাতা দক্ষিণ পূর্ব কেন্দ্রে ভারতীয় জনসঙ্ঘের টিকিটে লড়েন শ্যামাপ্রসাদ। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের মৃগাঙ্কমোহন সুরকে হারিয়ে দেন প্রায় ২১ হাজার ভোটে। সিপিআই প্রার্থী ছিলেন তৃতীয় স্থানে। ৬৫ হাজার ২৬ ভোট পেয়েছিলেন শ্যামাপ্রসাদপ্রায় ৪৫ শতাংশ।

স্বাধীন দেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচন। কিন্তু ভোটদানের হার ছিল বেশ কম। কলকাতার চারটি আসনের কোনওটিতেই  ৪০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েনি। এই নির্বাচন মেঘনাদ সাহার মতো রাজনীতিতে শ্যামাপ্রসাদেরও জন্ম দিয়েছিলএমনটা নয়।

অবিভক্ত বঙ্গের প্রাদেশিক সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। আবুল কাশেম ফজলুল হক ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। নেহরু মন্ত্রিসভার শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি।

 স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের পুত্র শ্যামাপ্রসাদ ১৯৫১ সালেই গড়েছিলেন ভারতীয় জনসঙ্ঘ। কলকাতায় ভোটে লড়ে জয় পেয়েছিলেন।

এক বছরের মতো সাংসদ ছিলেন শ্যামাপ্রসাদ। কাশ্মীরে ১৯৫৩ সালে তাঁর জীবনাবসান হয়। এই প্রদেশের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের অন্যতম প্রবক্তা ছিলেন তিনি।

 ২০১৯ সালে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোকরেছেন মোদী। এ বার দেশের প্রতি বুথ থেকে ৩৭০টি ভোট চেয়েছেন পদ্মের জন্য। শ্যামাপ্রসাদের কথা স্মরণ করেই গোটা দেশে লক্ষ্য ৩৭০ আসন!

জনসঙ্ঘ বঙ্গের রাজনীতিতে সেভাবে দাগ কাটতে পারেনি। শুধু শ্যামাপ্রসাদের ক্যারিশমা তাঁকে জয় এনে দিয়েছিল। তাই ১৯৫৩ সালেকলকাতা দক্ষিণ পূর্বের উপনির্বাচনে জনসঙ্ঘের প্রার্থী তৃতীয় স্থানে চলে গিয়েছিলেন। জয়ী হন সিপিআইয়ের সাধন গুপ্ত।

 1952 সালের নির্বাচনে কলকাতার চতুর্থ আসনটিতে জয়ী হয়েছিলেন কংগ্রেসের অসীম কৃষ্ণ দত্ত।

পরবর্তী কালেও কলকাতা থেকে নির্বাচিত লোকসভার সদস্যরা দেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। অশোক সেনপ্রতাপচন্দ্র চন্দ্রইন্দ্রজিৎ গুপ্তর মতো নেতারা এই শহর থেকে জিতে দিল্লি গিয়েছেন। মন্ত্রী হয়েছেন।

সেই অযোধ্যা নেইরামও নেই। সেই কলকাতাও আর নেই আজকের কলকাতায়!

 


New
বিদায় পিটি নায়ার: কলকাতার ইতিহাসবেত্তা
এগজিট পোল মিলে গেলেও যে প্রশ্ন উঠবেই
কংগ্রেস সেঞ্চুরি না করলে কে রুখবে বিজেপিকে?


Other Writings by -কুশল সিংহরায়
এগজিট পোল মিলে গেলেও যে প্রশ্ন উঠবেই
এগজিট পোল মিলে গেলেও যে প্রশ্ন উঠবেই

লোকসভা ভোট পর্ব শেষ হওয়ার পর সব …

কংগ্রেস সেঞ্চুরি না করলে কে রুখবে বিজেপিকে?
কংগ্রেস সেঞ্চুরি না করলে কে রুখবে বিজেপিকে?

এবার আইপিএল ফাইনাল …

ভোটই তো গোনা, মজন্তালী সরকারের ঢেউ গোনা তো নয়
ভোটই তো গোনা, মজন্তালী সরকারের ঢেউ গোনা তো নয়

এবারের নির্বাচনে প্রথম দফার নির্বা…

তাপদাহে তপ্ত দেশ, ভোট দেবেন কীভাবে?
তাপদাহে তপ্ত দেশ, ভোট দেবেন কীভাবে?

কদিন আগেই খবরের কাগজে বেরিয়েছিল ছবিটা।

একটা ছোট পুকুর। তার এককোণে, সামান্য একটু জলে সবু…


4thPillar

Support 4thPillarWeThePeople

Admin Login Donate
আমাদের কথা

আমরা প্রশ্ন করি সকলকে। আমরা বহুত্ববাদী, স্বাধীন, যুক্তিবাদী। আমরা সংশয়বাদী; তর্কশীল; আবার সহিষ্ণুও বটে। আসুন কথা হোক; পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা, সম্মান, বিশ্বাস রেখে আলোচনা হোক। মননের ইতিহাসে শেষ কথা বলার স্পর্ধা কারও যেন না হয়; আবার কোনও স্বরই যেন অকিঞ্চিৎকর বলে উপেক্ষিতও না হয়। এই রকম ভাবনার একটা ইন্টারনেট-ভিত্তিক বিশ্বব্যাপী কমিউনিটি গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।

© 2023 4thPillarWeThepeople. All rights reserved & Developed By - 4thPillar LeadsToCompany
// Event for pushed the video