মোদ্দা কথা: ঠিকমত যাচাই না করা তথ্য, ভুলভাল নাম এবং অন্যান্য ত্রুটিযুক্ত কেসের উপর ভিত্তি করে তৈরি হওয়া ডেটাবেসই হল কেন্দ্রের লকডাউন শিথিল করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষিত ‘সত্যের একমাত্র উৎস’। বেশ কিছু রাজ্য এই বিভ্রান্তির প্রতিবাদে অন্য ডেটাবেস ব্যবহার করেছে।
কেন্দ্র বর্তমানে COVID-19 মহামারী এবং লকডাউনের শিথিলতা সংক্রান্ত বিধিনিষেধের জন্য চারটি মানদণ্ডের মধ্যে যে দুটি ব্যবহার করছে তা Indian Council of Medical Research (ICMR) দ্বারা পরিচালিত একটি ভুল ডেটাবেসের উপর নির্ভর করে। এই ICMR ডেটাবেসে – সরকারের বক্তব্য অনুযায়ী যা ‘সত্যের একমাত্র উৎস’ – না যাচাই করা তথ্য, নকল এবং ভুল নাম এবং অন্যান্য ডেটা-সংগ্রহ এবং ডেটা-এন্ট্রির ত্রুটি রয়েছে। Article14-এর তদন্তে এমনটাই উঠে আসছে।
করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নির্ণয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ICMR-এর ডেটাবেস ব্যবহার করছে। উল্টোদিকে রাজ্যগুলি National Centre for Disease Control (NCDC)-এর ডেটাবেস ব্যবহার করছে। গত 29 এপ্রিল, এই দুটি সংস্থার পরিসংখ্যানের মধ্যে বিস্তর ফারাক দেখা যায়। কেন্দ্রের পরিসংখ্যানে অতিরিক্ত 5024 জন করোনা পজিটিভ রোগীর সন্ধান মেলে, রাজ্যগুলির পরিসংখ্যানে যাদের উল্লেখ করা হয়নি। মাত্র পাঁচটি ছোট রাজ্য এবং তিনটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সঙ্গে এই দুটি সংস্থার পরিসংখ্যানে মিল ছিল (যার সবগুলি মিলিয়ে মাত্র 16টি সংক্রমণের কেস ছিল)। বাকি রাজ্যগুলির পরিসংখ্যানের সঙ্গে কেন্দ্রের ICMR অনুসৃত পরিসংখ্যানের কোনও তালমিল পাওয়া যায়নি। হয় সেখানে কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যানের তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি ছিল, অথবা অনেক কম ছিল।
দেশের প্রধান চিকিত্সা-গবেষণা সংস্থা প্রায়শই এই ডেটা সংগ্রহের প্রোটোকল এবং প্রক্রিয়াগুলি সংশোধন করেছে। যেমন 60 দিনের মধ্যে 10 বার ডেটা সংগ্রহের ফর্ম পরিবর্তন করা হয়েছে। 29 এপ্রিল, ICMR রাজ্য সরকারগুলিকে ভারতের 739টি জেলার ডেটাসমেত একটি পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশন পাঠিয়েছিল (যা Article14 খতিয়ে দেখেছে)। তাতে জরুরি নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যে তিন দিনের মধ্যে 33,014 রেকর্ড যাচাই করতে হবে এবং ডেটাবেসে অন্যান্য ত্রুটিগুলির সমাধান করতে হবে।
রাজ্যগুলির উদ্দেশে ICMR-এর নির্দেশ ছিল: “2 মে সন্ধ্যা 6 টার আগে: কোভিড ইন্ডিয়া পোর্টালে পজিটিভ কেস রেকর্ডের জন্য রোগীর টেস্টের ফলাফল, মোবাইল নম্বর, ঠিকানা, পিনকোড যাচাই করুন, গ্রহণ করুন ও আপডেট করুন; রাজ্য ও জেলা বরাদ্দের বিষয়গুলি দ্রুত সমাধান করতে হবে। মিসিং কেস এবং নকল কেসগুলি শণাক্ত করে ইমেলের মাধ্যমে জানাতে হবে।”
অর্থাৎ, রাজ্যগুলিকে পাঠানো প্রেজেন্টেশন অনুযায়ী, ICMR-এর ডেটাবেস 1 মে-তেও ভরসাযোগ্য ছিল না যখন কেন্দ্রীয় সরকার দ্বিতীয়বার লকডাউনের মেয়াদ বাড়ালেন 17 মে অবধি।
প্রোটোকল এবং প্রক্রিয়ার অবিরাম সংশোধন
কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলির মধ্যে অন্যান্য নথি এবং চিঠিপত্র অনুযায়ী মে মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত, ICMR দেশব্যাপী ডেটা সংগ্রহের জন্য প্রোটোকল, পদ্ধতি এবং প্রক্রিয়াগুলি নির্দিষ্ট করেনি। ICMR বারবার এগুলি সংশোধন করে পুনর্লিখন করেছে। কখনও কখনও যা রাজ্য এবং পরীক্ষাগারে মেডিকেল এবং প্রশাসনিক কর্মচারীদের বিভ্রান্ত করে তাদের উপর চাপ আরও বাড়িয়ে তোলে। সদ্যই তামিলনাড়ুর জনস্বাস্থ্য ডিরেক্টরের পদ থেকে অবসরপ্রাপ্ত কে কোলান্দাস্বামী বলেন, “গাইডলাইন আসতেই থাকে আর বদলাতেই থাকে, এটা কখনও থামার নয়। ব্যাখ্যারও পরিবর্তন হচ্ছে।”
একটি পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা 3 মে Article14-কে জানিয়েছেন, “ICMR-এর ডেটাবেসে নকল নাম, ভুল এবং অস্পষ্ট ফোন নম্বর এবং ঠিকানার বিবরণ রয়েছে”। ওই কর্মকর্তা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এবং অনুরোধ করেছেন যে রাজ্যটির নামও যাতে না উল্লেখ করা হয়।
পশ্চিমের একটি রাজ্যের COVID-19 ডেটা ম্যানেজমেন্ট-এর ইনচার্জে থাকা এক কর্মকর্তা বলেছেন, “কখনও কখনও কোনও ব্যক্তি একটি জেলায় পরীক্ষিত হয়েছেন, অথচ অন্য জেলা থেকে এসেছিলেন এবং মূলত তৃতীয় কোনও স্থানের বাসিন্দা। এই তথ্যগুলোর যাচাই কেবলমাত্র রাজ্যের এজেন্সিগুলিই করতে পারে। তবে, কিছুদিন আগে অবধিও ICMR রাজ্য ও জেলা কর্তৃপক্ষ-কে এটি যাচাই ও সংশোধন করার অনুমতি দেওয়ার জন্য কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।” এই আধিকারিকও কেন্দ্রীয় সরকারের রোষের ভয়ে উদ্ধৃত হতে চাননি।
দুটি ডেটাবেসের তফাৎ সম্পর্কে মতামত চেয়ে Article14 দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন, স্বাস্থ্যসচিব প্রীতি সুদান, ICMR-এর ডিরেক্টর জেনারেল বলরাম ভার্গব এবং ICMR-এর মহামারি বিশেষজ্ঞ রামন গঙ্গাখেদকরের কাছে ই-মেল পাঠায়। সচিব আমাদের ই-মেলটি মন্ত্রকের অন্যান্যদের এবং ICMR-কে পাঠান এবং আমাদের কপি করেন। সেই ই-মেল থ্রেডে ভার্গব উত্তর দেন, “এই বিষয়টি MOHFW-এর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এবং ICMR-এর সঙ্গে নয়।” ICMR সম্পর্কিত প্রশ্নাবলীর পৃথক যে মেল তাকে পাঠানো হয়, তার কোনও উত্তর ভার্গব দেননি। উত্তর পেলে এই প্রতিবেদন আপডেট করা হবে।
দু’টি ডেটাবেসের গল্প
2020-এর জানুয়ারিতে COVID-19-এর উত্থানের পর ICMR এই রোগের উপর নজরদারি শুরু করে। ততদিন পর্যন্ত ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের আর এক হাত NCDC কেবলমাত্র Integrated Disease Surveillance Programme (IDSP)-এর মাধ্যমে পুরোপুরি দায়বদ্ধ ছিল। এটি রোগের প্রাদুর্ভাবের একটি ডেটাবেস তৈরি রাখে। গ্রাম-শহর-জেলা এবং রাজ্যের সামনের সারির স্বাস্থ্যকর্মী ও আধিকারিকদের নিয়ে তৈরি, IDSP হল এমন একটি ডেটাবেস যার উপর রাজ্য সরকার সাধারণত মহামারী ও রোগের প্রকোপ পর্যবেক্ষণ করতে এবং প্রতিক্রিয়া জানাতে নির্ভর করে।
যখন COVID-19 মহামারি শুরু হয়, কেন্দ্র এর বদলে ICMR-কে রোগের তথ্য গ্রহণের ভার দেয়। ICMR তখন COVID-19-এর পরীক্ষা করা হয় এমন পরীক্ষাগারগুলি থেকে সরাসরি ডেটা সংগ্রহ করে পাশাপাশি একটি ডেটাবেস তৈরি করে। এই পরীক্ষাগারগুলির পজিটিভ কেসের ব্যাপারে রাজ্যকেও জানানোর কথা ছিল।
NCDC রাজ্য সরকারের কর্মীদের মধ্যে নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে COVID-19 কেসের তথ্যসংগ্রহ চালিয়ে যায়। রাজ্য সরকারগুলি COVID-19 ট্র্যাক করার জন্য এই ডেটাবেসের উপর নির্ভর করেছিল, যার সূক্ষ্ম ডেটা সরেজমিনে তদন্ত করতে, যোগাযোগগুলির সন্ধান করতে এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে ব্যবহৃত হয়।
“প্রত্যেকটি জেলাতে আমাদের IDSP নেটওয়ার্ক আছে”, বলেছিলেন আগে উদ্ধৃত পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের সেই কর্মকর্তা। “আমাদের জেলায় নজরদারি অফিসার এবং মহামারী বিশেষজ্ঞ আছে। এই নেটওয়ার্ক আমাদের আগেও ছিল, আমরা ব্যবহারও করেছি।” IDSP নেটওয়ার্কে কর্মীর অভাব রয়েছে এবং 7 এপ্রিল 2020-এর মধ্যে ICMR রাজ্যগুলিকে IDSP-এর গুরুত্বপূর্ণ পদগুলি পূরণ করতে বলেছিল। এদের ডেটা সংগ্রহের প্রোটোকলগুলি সুপ্রতিষ্ঠিত এবং তারা ফার্স্ট-হ্যান্ড ডেটা ব্যবহার করে। COVID-19 সংক্রান্ত ICMR-এর ডেটাবেস টেস্টিং ল্যাবরেটরিগুলি থেকে পাওয়া সেকেণ্ড হ্যান্ড ডেটার উপর নির্ভর করে। এই বিশ্বব্যাপী মহামারী চলাকালীন দুটি ডেটাবেস কখনও এক হয়নি।
যেমন, পূর্বে উল্লিখিত প্রেজেন্টেশন অনুযায়ী 29 এপ্রিল পর্যন্ত ত্রিপুরায় NCDC-এর থেকে 88 শতাংশ বেশি কেস ICMR রেকর্ড করেছে। মহারাষ্ট্রে, যেখানে অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বেশি অ্যাকটিভ কেস আছে, সেখানে ICMR-এর 10,096 থেকে 1,678টি কম কেস রেকর্ড করেছে NCDC। দিল্লিতে ICMR 2,830টি কেস রেকর্ড করেছে, যা NCDC-এর তুলনায় 484 টি কম। তবে, যেমন আগেও বলেছিলাম, ICMR এবং NCDC-এর ডেটাবেস মিলেছে গোটা দেশে 36টির মধ্যে শুধুমাত্র পাঁচটি রাজ্য এবং তিনটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ক্ষেত্রে।
মূল ভাবনায় গলদ, তথ্য সংগ্রহে নয়
গোড়ায় কেন্দ্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের আধিকারিকরা দুই রকমের তথ্যকে আপডেট করার ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকার সমস্যা হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। কিন্তু Article14 একাধিক নথিপত্র রিভিউ করে বোঝে ত্রুটিগুলি একেবারে মৌলিক। ICMR 29 এপ্রিলের আগে ডেটাবেসগুলির মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান করার জন্য একাধিকবার রাজ্যগুলিকে অনুরোধ করেছিল, কিন্তু রাজ্য কর্মকর্তাদের দাবি যে, তাদের ডেটা আপডেট করার একাধিক অনুরোধে ICMR-ই কোনও সাড়া দেয়নি।
আগে উদ্ধৃত পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের কর্মকর্তার কথায়, "আমার কাছে একের পর এক মেল রয়েছে যেগুলো আমি ICMR-কে তথ্য সংশোধন করার জন্য লিখছিলাম, তাদের তরফে কোনও উত্তর আসেনি। আমরা দিল্লি এবং পাঞ্জাবে বসবাসকারী কিছু মানুষদের আমাদের রাজ্যের তালিকাভুক্ত দেখতে পেয়েছিলাম। তার কারণ, তাঁরা তাঁদের স্থায়ী ঠিকানা দিয়েছেন, বর্তমান ঠিকানা নয়।’
যদি ICMR পরীক্ষাগারগুলি থেকে পাওয়া ডেটা ব্যবহার করে থাকে, তাহলে তা ত্রুটিপূর্ণ হয় কীভাবে? ওই অফিসারের কথায়, "ICMR সরাসরি ল্যাবগুলি থেকে ডেটা নিয়েছিল এবং আমাদের থেকে তাদের সত্যতা যাচাইয়ের প্রয়োজন পড়েনি। কখনও কখনও মানুষ সম্পূর্ণ অবহেলা এবং ভয়ের কারণে তার ঠিকানা প্রকাশ করে না।’ অন্যদিকে আগে উদ্ধৃত পশ্চিমের এক রাজ্যের কর্মকর্তা বলেন, "রাজ্য প্রশাসন চাইলে এই অসম্পূর্ণ তথ্য রাস্তায় নেমে সরেজমিনে যাচাই করতে পারে, কিন্তু ICMR তথ্যের যাচাই না করেই কাজ শুরু করে দেয়।’
ICMR ল্যাবগুলিকে এবং রাজ্যগুলিকে COVID-19 টেস্টিং ডেটার জন্য ব্যবহারের যে বেসিক ফর্ম দিয়েছিল, Article14 তার একাধিক সংস্করণ পর্যালোচনা করেছে: "ICMR স্পেসিমেন রেফারাল ফর্ম ফর COVID-19’। আমরা দু’মাসের মধ্যে ছোটখাটো এবং বড় পরিবর্তনসহ কমপক্ষে দশটি আলাদা সংস্করণ তৈরি করেছি।
কেন্দ্র এবং রাজ্যের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা এর এই জাতীয় ডেটা সংগ্রহের দক্ষতা নিয়ে সন্দেহ উত্থাপন করেছিলেন। ICMR প্রাথমিকভাবে একটি গবেষণা সংস্থা, যা প্রায় দু’মাসের মধ্যে তার নিজস্ব ডেটা সংগ্রহের পদ্ধতিগুলি ঠিক করেছিল। ICMR-এর সকলে হলেন ল্যাবের গবেষক, অন্যদিকে NCDC সরাসরি মাঠে নেমে তথ্য সংগ্রহ করে। এটাই তাদের বিশেষত্ব।
ত্রুটিপূর্ণ ডেটাবেসের ফল
29 এপ্রিল ICMR রাজ্যগুলিকে দুটি ডেটাবেসের সামঞ্জস্য সাধন করতে বলেছিল এবং সেই সঙ্গে পাঁচদিনের কড়া সময়সীমা দিয়ে বলেছিল যে, সেই তারিখ থেকে কেবল ICMR-এর কেন্দ্রীয় ডেটাবেস ‘রোগীদের তথ্যের ক্ষেত্রে সত্যের একমাত্র উৎস' এবং ‘পরীক্ষার জন্য সত্যের একমাত্র উৎস' হিসেবে ব্যবহৃত হবে। অথচ তার অনেক আগেই 15 এপ্রিলের মধ্যে, কেন্দ্রীয় সরকার ICMR-এর তথ্যের ভিত্তিতে ভারতে প্রথম 739 জেলাকে রেড, অরেঞ্জ এবং গ্রিন জোনে বিভক্ত করেছিল।
1 মে রেড জোন চিহ্নিত জেলাগুলিতে লকডাউনের আওতায় একতরফাভাবে বিধিনিষেধ বাড়ানোর জন্য একই ডেটাবেস ব্যবহার করে কেন্দ্র, যার ভিত্তি ছিল তখনও পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ কেস-সম্বলিত জেলাগুলির খতিয়ান। রেড জোনগুলি নির্ধারণের মানদণ্ড সংশোধন করে কেন্দ্র পরে ঘোষণা করে যে, মহামারীর তীব্রতা নির্ধারণের জন্য চারটি মানদণ্ড ব্যবহার করা হবে। এর মধ্যে দুটি হল কেসের সংখ্যা এবং তার দ্বিগুণ হওয়ার হার, যে দুটিই ICMR-এর নড়বড়ে ডেটাবেসের উপর ভিত্তি করে তৈরি।
ডেটা সংগ্রহের পদ্ধতিতেই পরিবর্তন এনে ICMR ডেটাবেস আপডেট করার জন্য রাজ্যগুলিকে এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে RT-PCR নামে একটি নতুন অ্যাপ ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছে। হঠাৎ ম্যানুয়াল ডেটা এন্ট্রি থেকে অ্যাপ ভিত্তিক ডকুমেন্টেশনে পরিবর্তনের ফলে ফিল্ড ডেটা সংগ্রহ জটিল হয়ে পড়ে যেমন, দুটি রাজ্যে চিকিৎসক এবং প্রথম সারির কর্মীরা জিজ্ঞেস করেন সুরক্ষামূলক গিয়ার পরা অবস্থায় তারা কীভাবে ফোনে অ্যাপটি ব্যবহার করবেন? আবার, অ্যাপটি প্রকাশের পরই, ICMR তাতে পুরনো ডেটা পূরণের পদ্ধতি পরিবর্তন করে দেয়।
এক সরকারি কর্মকর্তার ভাষায়, "এটি একদিক থেকে ভাল যে, ICMR শেষপর্যন্ত রাজ্যগুলিকে তাদের কাছে থাকা ডেটা যাচাই করতে এবং প্রয়োজনে সংশোধন করতে একটি টু-ওয়ে চ্যানেলের অনুমতি দিয়েছে। এটা প্রথম দিন থেকেই হওয়া উচিত ছিল। এই পর্যায়ে এসে ডেটা সংগ্রহের পদ্ধতির মান নির্দিষ্ট করা উচিত ছিল।’’
ইংরেজিতে মূল প্রতিবেদনটি পড়তে হলে www.Article-14.com