4thPillar


পতঞ্জলির শাস্তি ও আয়ুর্বেদের বদনাম

ড: সুস্মিতা ঘোষMay 1, 2024
পতঞ্জলির শাস্তি ও আয়ুর্বেদের বদনাম

সেদিন একটি বালিকা আমায় প্রশ্ন করল, আয়ুর্বেদিক ওষুধে কাজ হয়? বুঝলাম সম্প্রতি সুপ্রিম  কোর্ট পতঞ্জলির ওপর যে শাস্তির বিধান দিয়েছে, সেই খবর দেখে তার ওই ধারণা হয়েছে। উল্টোদিকে ঠিক তেমন ভাবেই  সনাতনের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকা এক বিরাট সংখ্যক ভারতীয়ের মনে গেঁথে বসে আছে, আয়ুর্বেদিক মানে কিছু একটা অভ্রান্ত, তাতে কিছুতেই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে না।  এই ধারণার উপর ভিত্তি করেই  আরও বেশি প্রচারে সক্ষম হয়েছে পতঞ্জলি, সেইসঙ্গে অবশ্যই রয়েছে রাজনৈতিক সহায়তা। 

শিক্ষিত মানুষের মধ্যেও বাবা রামদেবের প্রতি এতটাই অন্ধবিশ্বাস গেড়ে বসে গেছে যে, অনেককে বলতে শুনেছি পতঞ্জলির সমস্ত পণ্য নাকি বিশুদ্ধ। একজন আবার পতঞ্জলির মধুর শিশির তলায় জমে থাকা চিনির ক্রিস্টাল দেখিয়ে সগর্বে বলেছে এটাই নাকি বিশুদ্ধতার প্রতীক। আসল বৈজ্ঞানিক তথ্য হল, খাঁটি মধুতে কখনো চিনি জমে না, চিনি ভেজাল থাকলেই তবে ওরকম ক্রিস্টাল জমা পড়তে শুরু করে, কিন্তু এই  তথ্য তাদের নাড়া দেয় না। বছর তিনেক আগে কোন কোম্পানির মধুতে কতটা ভেজাল আছে, সেই নিয়ে পরীক্ষা শুরু হলে, তার লিস্টের প্রথমেই পতঞ্জলির নাম থাকা সত্ত্বেও এদের কারুর কারুর পতঞ্জলি- ভক্তি এতটুকু কমতে দেখিনি।  

সুপ্রিম কোর্ট আজ বড় দেরি হলেও পতঞ্জলির উদ্দেশ্যে যে অভিযোগ এবং যে সব শাস্তি বিধান করছে, তার মোদ্দা বক্তব্য হল আয়ুর্বেদিক ওষুধও ওষুধ মাত্র। যা ওষুধ হিসেবে বাজারে বিক্রি হবে বা রোগ সারানোর কাজে ব্যবহার করা হবে, তাকে কিছু নিয়ম মানতেই হবে। সেই নিয়মের একটা হল, কোনও ওষুধ সম্বন্ধে যদি এক বা একাধিক রোগ সারানোর দাবি থাকে, তা হলে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এর মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে যে ওই ওষুধ সত্যি সত্যিই ওই সব রোগ সারাতে পেরেছে। দ্বিতীয় নিয়ম অবশ্যই শুদ্ধতা সংক্রান্ত।  সুপ্রীম কোর্টের প্রমাণ আছে যে পতঞ্জলি এগুলো কোনওটাই মানে নি, মিথ্যে বিজ্ঞাপনে রোগীদের ভ্রান্ত করেছে এবং এলোপ্যাথিক চিকিৎসার বদনাম করেছে। এই অভিযোগ কতটা গুরুতর বুঝতে গেলে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল জিনিসটাকে বোঝা দরকার। 

ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বলতে বোঝায়,  সরকার এবং বিশ্বের ওষুধ নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলি নির্ধারিত কিছু নিয়ম মেনে বেশ কিছু রোগীর ওপর পরীক্ষা অর্থাৎ ট্রায়াল করে দেখা, ওই ওষুধে ওই রোগটি আদৌ সারছে কিনা। এখন এই ”রোগ সারা” ব্যাপারটা, বিশেষ করে বিজ্ঞান ভিত্তিক ভাবে “রোগ সারল” কিনা নিশ্চিত হওয়াটা কিন্তু অনেক জটিল ব্যাপার। “ওষুধ” এই শব্দটা শুনলেই কিন্তু প্রচুর মানুষের নানা রকম প্রতিক্রিয়া হয়। একদল আছে, যারা ইনজেকশন না নেওয়া পর্যন্ত কিছুতেই ভালো বোধ করে না। গ্রামের দিকে অনেককেই দেখা গেছে যতক্ষণ পর্যন্ত একটা ভিটামিনও না লিখে দেওয়া হচ্ছে প্রেসক্রিপশনে, ততক্ষণ হয় নাছোড়বান্দা হয়ে বসে থাকে, না হলে ঘোষণা করে ডাক্তার কিছু জানে না।  আমার পিসিমাকে ফোঁটা ফোঁটা জল মেপে খাওয়ালেই বলতেন খুব ভালো ওষুধ দিয়েছিস। আবার উল্টো চরিত্রও আছে। ওষুধ বলে  ফোঁটা ফোঁটা জল খাওয়ালেও তারা বলে, ওই জল খাওয়ার পর থেকে আমার মাথা ঘুরছে, কি প্রেশার বেড়ে গেছে।  এই যে অন্ধ বিশ্বাস বা পূর্বনির্ধারিত বিশ্বাস জনিত অলীক সুস্থ হওয়ার বোধ, বা অলীক সাইড ইফেক্ট এর বোধ,  একে  ডাক্তারি ভাষায় বলে placebo effect. বিজ্ঞানমনস্ক প্রচুর মানুষের কাছে কিন্তু হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদ এবং এই ধরণের নানা বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি কিন্তু placebo effect-ই। তাদের এই ধারণা খণ্ডন করার জন্যে যথেষ্ট প্রমাণ এখনও পর্যন্ত আমাদের কাছে নেই। সেই প্রমাণ পাওয়া যায় একমাত্র সমস্ত নিয়ম মেনে করা ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল থেকেই।   

ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে প্লাসিবো এফেক্ট দূর করা যায় কি করে? পদ্ধতিটা খুব সহজ।  ঠিক যে ভাবে আমি ধরেছিলাম, যদিও পিসিমা বলেছিলেন যে খুব মাথা ধরেছে,  আসলে কিছুই  হয় নি। যেটা হয়েছিল সেটাকে মনোযোগ অর্থাৎ attention পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা, যেটার বহিঃপ্রকাশ হল ওষুধ খাওয়ার আকাঙ্ক্ষা - তা সে  যা ওষুধই হোক। কিন্তু এখানেও পক্ষপাতের সম্ভাবনা আছে। কারণ আমি জানি আমি নিজে হাতে জল দিয়েছি, কারণ আমি পিসিমাকে হাড়ে হাড়ে চিনি। এই পক্ষপাত দূর করা যায়, যদি এমন কেউ পিসিমাকে ওষুধ দিতে আসে, যে পিসিমাকে চেনে না এবং তাকে একটা কোড নম্বর ওয়ালা শিশি দেওয়া হয়েছে তাতে কি আছে? আসল ওষুধ, না জল, তা তাকে জানতে দেওয়া হয় নি।  যারা ঠিক করেছে  পিসিমাকে ওষুধ দেওয়া হবে না জল, তারাও পিসিমাকে চেনে না, তাদের কাছেও পিসিমা একটা কোড নম্বর মাত্র। এই রকম বহু অচেনা মাথা ধরার রুগী  পিসিমা, পিসেমশাই , কাকা, মামা, কে ওষুধ দেওয়ার পরে তাদের কি হল, তারা সুস্থ বোধ করল, না কিছুই লাভ হল  না, বা আরো বেশি অসুস্থ বোধ করল, তার সমস্ত তথ্য একত্র করে রোগীর কোড আর  ওষুধের কোড মেলানো হয়।  সমস্ত data মিলিয়ে তার বিশ্লেষণ করলে তবেই আসল চিত্রটা ধরা পড়ে। বোঝা যায় যে, যে ওষুধটা দেওয়া হয়েছিল তাতে সত্যিসত্যি মাথা ধরা ছাড়ে কিনা,  বা অন্য কোনো ক্ষতি হয় কিনা, যদি এই ট্রায়াল অনেক অনেক বেশি সংখ্যক রোগী নিয়ে করা হয়।  কম সংখ্যায় রোগী নিলেই placebo effect আসল পরিসংখ্যানকে ঢেকে ভুল তথ্য দেবে।  


পতঞ্জলির শাস্তি ও আয়ুর্বেদের বদনাম

ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের এইছিল মূল তত্ত্ব। যেই ওষুধের প্রসঙ্গ উঠবে সঙ্গে সঙ্গে প্রশ্ন আসবে তা ক্ষতিকারক কিনা। আগেই ধরে নিতে হবে যে ক্ষতির সম্ভাবনা আছে। সেইজন্যে অচেনা পিসিমাকে ভুলিয়ে ভালিয়ে ওষুধ খাইয়ে দেওয়া নীতিবিরুদ্ধ।  ট্রায়ালে যে সব রোগীকে ওষুধ দেওয়া হবে, তারা স্বেচ্ছায় এই ট্রায়ালে অংশগ্রহণ করতে আসবে। ওষুধ কোম্পানির তরফে অবশ্যই তাদের সমস্ত রকম শারীরিক ইতিহাস নেওয়া হবে, কিন্তু  সেই সব তথ্য কখনও  ব্যক্তিগত স্তরে ফাঁস করা হবে না।  অর্থাৎ কখনও বলা হবে না সুস্মিতার পিসিমা, অমুক দেবীর মনোযোগ আকর্ষণ করা ছাড়া শারীরিক কোনো ব্যামো ছিল না। বিশ্লেষণের প্রয়োজনে যদি তথ্য উদ্ঘাঘন করতে হয় তবে শুধুমাত্র কোড নম্বর দিয়ে পরিচয় দেওয়া হবে।  রোগীর পরিচয় যেমন গোপনে রাখা হবে, কিন্তু রোগী যে ট্রায়ালে অংশগ্রহণ করছে, তার কোনও তথ্যই কিন্তু আইনানুগভাবে রোগীর কাছ থেকে গোপন রাখা চলবে না।  ট্রায়ালে মোটামুটি কি কি করা হবে, কি কি ঘটনা প্রত্যাশিত তা অংশগ্রহণকারী রোগীকে লিখিত ভাবে জানিয়ে রোগীর কাছ থেকে সই করিয়ে নিতে হবে। অপ্রত্যাশিত কোনও খারাপ ঘটনা ঘটলে, যদি প্রমাণ হয় এই নতুন ওষুধের জন্যই হয়েছে, তাহলে তার দায়িত্ব নিতে হবে ওষুধ কোম্পানিকে। 

  ওষুধ ক্ষতিকারক ধরে নিয়েই ট্রায়াল শুরু করা হয়, সেইজন্য প্রথমেই অনেকবেশি সংখ্যক রোগীকে সেইসব সম্ভাব্য ক্ষতির সম্মুখীন হতে দেওয়া হয় না।  ট্রায়াল করতে হয় ধাপে ধাপে অর্থাৎ চারটি phase এ। প্রথম phase এ কুড়ি থেকে একশ জন পর্যন্ত রোগী নেওয়া চলে। এই ট্রায়ালের জন্য অবশ্যই সরকারি অনুমোদন লাগে।  প্রথম phase এ সাফল্য এলে অর্থাৎ একেবারেই কোনো ক্ষতিকারক ঘটনা না নজরে এলে সেই তথ্য নিয়ে দ্বিতীয় phase এর অনুমোদনের দরখাস্ত করতে হয়, যেখানে ২৫ থেকে ৩০০ রোগীকে নিয়ে ট্রায়াল করা চলে। কিছু কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এই ফেজ থেকেই ধরা পড়তে শুরু করে। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া তেমন কঠিন না হলে একই ভাবে অনুমতি নিয়ে শুরু করা হয় তৃতীয় phase।  সেখানে কয়েক হাজার রোগীকে শামিল করা হয়। এই phase এ বোঝা যায় ওষুধ কতটা কার্যকরী। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ব্যাপারটা আরও পরিষ্কার হয়ে আসে। এই phase এ সন্তোষজনক ফল পেলে সরকার সেই ওষুধকে বাজারে আসার ছাড়পত্র দেয়।  ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এখানে শেষ হয় না।  বাজারে বিক্ষিপ্ত বহু সংখ্যক রোগীর ওপর কার্যকারিতা এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ওপর নজরদারি চতুর্থ phase এর দায়িত্ব। ওষুধের লাইসেন্স রিনিউ করতে এই phase এর ফলাফলের দায়িত্ব থেকে যায়।  

এই ট্রায়ালের নিয়ম সম্বন্ধে এতগুলো কথা বললাম, তার থেকে একটা জিনিস সহজেই বুঝতে পারা উচিত, ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল অত্যন্ত ব্যয়সাপেক্ষ। আইনকানুনের ব্যাপার থাকাতে জটিলও। 

আমাদের দেশের নিজস্ব নতুন ওষুধ কমই কারণ নতুন নতুন আবিষ্কারের যা খরচ এবং যা রিস্ক, তা আমাদের দেশের বানিয়া ওষুধ কোম্পানিরা তা নেবে কেন? তাই বলে কি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হয় না ? অবশ্যই হয়। বিদেশী বহুজাতিক সংস্থা ভারতের ওষুধ কোম্পানি এবং হাসপাতালকে দিয়ে ক্লিনিকাল ট্রায়াল আউটসোর্স করায়।  এই কাজ করার জন্য এখন প্রচুর ওষুধ কোম্পানির কন্ট্রাক্ট রিসার্চ অর্গানাইজেশন (CRO ) খুলে ফেলেছে। ওখানে এখন অনেক পয়সা। কিন্তু আউটসোর্সিং শুধু সস্তা শ্রমের কারণেই নয়।  আইনকে কলা দেখিয়ে গরিব মানুষকে গিনিপিগ হিসেবে ব্যবহার করার খবর প্রকাশ হওয়ার আগেই বেশির ভাগ সময় ধামা চাপা পড়ে যায়।  

সুপ্রিম কোর্টের বয়ান অনুসারে পতঞ্জলি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করেইনি। বানিয়ে বলে দিয়েছে ক্যান্সার, ডাইবেটিস এইসব মারাত্মক রোগের ক্ষেত্রে নাকি এদের ওষুধ অব্যর্থ। সেইসঙ্গে আরও বেশি অন্যায় হল লোককে বোঝানোর চেষ্টা করেছে অ্যালোপ্যাথি ভুল।  অন্যায় এই কারণেই, অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রেই যে কাজ করে তেমন ক্ষতি করে না সেটা প্রমাণিত। কাজেই অ্যালোপ্যাথিক ওষুধের বিরুদ্ধে অন্ধবিশ্বাস তৈরি করার সোজাসুজি মানে হল মানুষকে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে আয়ু কমিয়ে দেওয়া।  


পতঞ্জলির শাস্তি ও আয়ুর্বেদের বদনাম

শুদ্ধতার কথা দিয়ে শুরু করেছিলাম।  সাম্প্রতিক খবর তোলপাড় - ভারতীয় মশলাতে ক্যান্সারকারী রাসায়নিক ইথিলিন অক্সাইড পাওয়া গেছে, তাই বিদেশে অনেক ভারতীয় মশলা নিষিদ্ধ হয়েছে। ইথিলিন অক্সাইড উদ্ভিজ্জ পদার্থকে পোকা মাকড়ের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ব্যবহার হয়। কিন্তু তারপরে রয়ে যাওয়া ইথিলিন অক্সাইড না তাড়াতে পারলে সেই পণ্য অবশ্যই ক্ষতিকারক।  মশলার সঙ্গে সঙ্গে অবশ্যই আয়ুবেদিক পণ্যগুলির কথাও মনে আসবে। পতঞ্জলি বিজ্ঞাপনে সবসময় বলে কোনও ক্ষতিকারক রাসায়নিক নাকি নেই; যে কোনও পণ্যের লেবেলটা পড়ে  দেখবেন সর্ষের তেল, মাথার তেল, শ্যাম্পু, দাঁতের মাজন সবকিছুতেই রাসায়নিকের ছড়াছড়ি। 

পতঞ্জলির মিথ্যে ধরা পড়েছে অনেকবার, অনেকদিন আগে থেকেই। ওই দশ হাজার টাকা, এক লাখ টাকা, বড় জোর দুয়েক কোটি টাকা জরিমানা যাদের কাছে নস্যির চেয়েও কম, তারা এইভাবেই প্রশ্রয় পেয়ে বেড়েছে। 

পতঞ্জলির কারণে আমি আয়ুর্বেদকে অপবিজ্ঞান বলতে নারাজ।  গত শতাব্দী পর্যন্ত আবিষ্কার হওয়া বেশিরভাগ অ্যালোপ্যাথিক ওষুধের উৎস গাছগাছালি।  আয়ুর্বেদেরও তাই।  কিন্তু অ্যালোপ্যাথির সঙ্গে আয়ুর্বেদের সবচেয়ে বড় তফাৎ হল অ্যালোপ্যাথিক ওষুধের প্রতিটার রাসায়নিক উপাদানের খুঁটিনাটি, আণবিক মাত্রায় জানা।  আয়ুর্বেদিক ওষুধের ক্ষেত্রে বড়জোর অশোকারিষ্টতে phytoestrogen আছে এই ধরণের কিছু ওপর ওপর তথ্যের বেশি কিছু জানা নেই, কিন্তু জানা যায়। নানা ভাবে, নানা কম্বিনেশনে আয়ুর্বেদিক ওষুধের একএকটি উপাদান নিয়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করলেই অনেক তথ্য সামনে আসবে।  কিন্তু এখনও পর্যন্ত মুষ্টিমেয় যে কটি আয়ুর্বেদিক ক্লিনিকাল ট্রায়াল এর তথ্য পাওয়া যায় বৈজ্ঞানিক পত্রিকায়, তা আয়ুর্বেদিক ওষুধের placebo effect এর বদনাম ঘোচানোর পক্ষে যথেষ্ট নয়।  

 

ডঃ সুস্মিতা ঘোষ বায়োটেক স্টার্টআপ ডায়াগনোরাইটের প্রতিষ্ঠাত্রী, আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অফ কানেটিকাট থেকে বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেস এর ডক্টরেট।


New
বিদায় পিটি নায়ার: কলকাতার ইতিহাসবেত্তা
বিদায় পিটি নায়ার: কলকাতার ইতিহাসবেত্তা
এগজিট পোল মিলে গেলেও যে প্রশ্ন উঠবেই
এগজিট পোল মিলে গেলেও যে প্রশ্ন উঠবেই
কংগ্রেস সেঞ্চুরি না করলে কে রুখবে বিজেপিকে?
কংগ্রেস সেঞ্চুরি না করলে কে রুখবে বিজেপিকে?


Other Writings by -ড: সুস্মিতা ঘোষ

// Event for pushed the video