দীর্ঘদিন ধরে ধীরে ধীরে সমগ্র জাতির মুক্তচিন্তার মেরুদণ্ড ক্ষয় হতে হতে কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে, 5 এপ্রিল রাত ন’টা ন’ মিনিটের ঘটনা তারই একটি খণ্ড চিত্র মাত্র। ইতিহাস আমাদের পথ চলার সহায়িকা হতে পারে বড়জোর, তবে বিবর্তনের বদলে তার আবর্তন হলে কী কী হতে পারে, তা এই মুহূর্তে আমরা দেখতে পাচ্ছি।
যারা মনে প্রাণে এই ঘটনার চরম নিন্দা করছি, তারা প্রত্যেকেই জানতাম এ ঘটনা ঘটাই স্বাভাবিক। বিগত কয়েক বছর ধরে একটার পর একটা ইঙ্গিত আমরা কি পাইনি? তাও আমরা রেগে যাচ্ছি, হতভম্ব বা বিহ্বল হয়ে পড়ছি, কেন?
কারণ, আমরা ভাবছিলাম যতটা খারাপ ঘটার, অতীতে তা ঘটে গিয়েছে। আমরা অনে...ক দূরে চলে এসেছি। আমরা এতদিন ভাবছিলাম ‘অল ইজ ওয়েল’। চলছে-চলবে। ফাঁকতালে দেশের হাড়ে-মজ্জায় ঢুকে বসেছে মজা, ফূর্তি, হীনমন্যতা, অবসাদ, লোভ আর মিথ্যের কালচার। তারই ফল এই ধরনের আলো হাতে নির্বোধচিত্র প্রদর্শনীর ঘটনা। মহামারীর কবলে পড়েও সশব্দে দীপাবলি পালন, একবিংশ শতাব্দীর ইতিহাসে এরকম একটি অধ্যায় আগামী প্রজন্মের জন্য তোলা থাকবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে।
5 এপ্রিল রাত ন’টা ন’ মিনিট – এই সময়ে আমি চলচ্চিত্র নির্মাতা রবার্ত ব্রেসঁ-র একটি সাক্ষাৎকার শুনছিলাম। সিনেমা বিষয়ে তিনি বলেছেন - আমাদের চারপাশে যা যা ঘটছে অবিরাম, আমরা চাইলেও কখনই সবটা লক্ষ্য করে উঠতে পারিনা। অনেক কিছুই এড়িয়ে যাই। সিনেমা আর কিছুই নয়, একটি বা অনেকগুলো দৃশ্যকে চোখের সামনে কিছুক্ষণ ধরে রাখা, যা না দেখালেই নয়।
5 এপ্রিল, রাত ন’টা থেকে প্রায় দশটা পর্যন্ত, কিছু দৃশ্য আমাদের দেখানো হয়েছে; একটা খারাপ সিনেমা।