নোট ছাপিয়ে গরিবের হাতে টাকা, নাকি সহজ ঋণে শিল্প চালানোর সুবিধা?
আমরা এখন লকডাউন 4-এ। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, 16 মে নাগাদ ভারতের করোনা আক্রান্তের কার্ভ সমতল হবে (মানে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে না)। সেটা হয়নি, উলটে আমরা এ’ব্যাপারে চীনকে পেছনে ফেলে একলক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছি। তবে আমাদের মৃত্যু হার 3.3- এর মধ্যেই আছে, যেখানে ইউরোপের দেশগুলোর হার 13-14 শতাংশ। এছাড়া গ্রামের দিকে ছড়াচ্ছে না। সচেতনতা বেড়েছে, তাই বহু জায়গায় পরিযায়ী শ্রমিকেরা ফিরে এলেও সংক্রমণ মহামারীর আকার নেয়নি। ভারতের সুস্থ হওয়ার হারও বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ের, প্রায় 40 শতাংশ। সরকারিভাবে বলা হচ্ছে আমাদের এখন করোনা ভাইরাসের সঙ্গে বেঁচে থাকার অভ্যাস করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী জ্যোতিষী নন। তাঁর অনেক ভবিষ্যদ্বাণী ফলেনি। বিদেশ থেকে কালো টাকা এসে গরিবের জনধন খাতায় 15 লাখ করে জমা হয়নি । 2016 সালের ডি-মনিটাইজেশন এর ফলে প্রচুর কালো টাকা ধরা পড়ার কথা ছিল, পড়েনি। বরং ভারতের ইনফর্মাল ইকনমি বা অসংগঠিত অর্থনীতি ব্যাপক মার খেয়েছে।
তাতে কী? উনি চেষ্টা করেছেন তো!
ইতিমধ্যে মধ্যবিত্ত ভদ্রলোকের ভারতবর্ষ জেগে উঠে জেনেছে যে, আমরা ঘরে বন্ধ রয়েছি বটে, কিন্তু বড় বড় শহর ও মহানগরীতে জীবিকার সন্ধানে কাজ করতে আসা পরিযায়ী শ্রমিকেরা কাজ হারিয়ে মাথা গোঁজার জায়গা হারিয়ে দেড় মাস ধরে অপেক্ষা করার পর বাধ্য হয়ে নিজেদের গাঁয়ে ফিরতে চাইছে। কারণ প্রথম দু’মাস নির্দেশ ছিল যে যেখানে আছ সে সেখানেই থেকে যাও। কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার, বেশ কিছু এনজিও, সমাজসেবী সংস্থা এবং গুরুদ্বারা আদি ধর্মীয় সংস্থা অঁদের খাবার দেওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু বোঝাই যাচ্ছে এইসব প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল এবং এর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। লকডাউনে কাজ হারানো, মাইনে বন্ধ হওয়া মানুষের পক্ষে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হলে 31 মার্চ সুপ্রিম কোর্টে সরকারের বক্তব্য হল, খাদ্যের অভাবেকোনও পরিযায়ী শ্রমিক রাস্তায় নামেননি, কারণ সরকার সবার থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে। শীর্ষ আদালত সরকারি বয়ান মেনেও নিল।
অথচ সেই 1979 সালেই আন্তঃরাজ্য পরিযায়ী শ্রমিকদের সুরক্ষার জন্য ইন্টারস্টেট মাইগ্র্যান্ট ওয়ার্কমেন (রেগুলেশন অফ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড কন্ডিশন্স অফ সার্ভিস) অ্যাক্ট আইন তৈরি হয়েছিল। ওই আইনে পরিযায়ী শ্রমিকদের এবং তাদের নিয়ে আসা ঠিকেদারদের রেজিস্ট্রেশন ও নথিবদ্ধকরণ ইত্যাদি নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া আছে। কেউ মানেনি। শ্রমিকরাও ওদের পক্ষে তৈরি এই আইন এবং তাদের ন্যায্য অধিকার নিয়ে অন্ধকারে।
পরিযায়ী শ্রমিকরা সংখ্যায় কত? কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন গত সপ্তাহে তাঁর দ্বিতীয় রিলিফ প্যাকেজে 100 দিনের কর্মনিশ্য়তা প্রকল্প মনরেগায় অতিরিক্ত 40,000 কোটি টাকার কাজ দেওয়ার ঘোষণা করার সময় বলেন সংখ্যাটি 8 কোটি হবে, এটা রাজ্য সরকারগুলোর কিছু ডেটা নিয়ে অনুমান মাত্র। তাহলে কি সরকারের কাছে দেশের পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে ডেটাবেস নেই? জনৈক ভেঙ্কটেশ নায়েকের সূচনার অধিকার সংক্রান্ত (আর টি আই) পিটিশনের উত্তরে চিফ লেবার কমিশনারের অফিস জানিয়েছে যে তাঁদের কাছে পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যওয়ারি বা জেলাওয়ারি কোন তথ্য নেই ।[1]
2011 সেন্সাস অনুযায়ী এই সংখ্যা তখন ছিল 13 কোটি 90 লক্ষ।
সুপ্রিম কোর্টে পেশ করা সরকারি বয়ানের তুলনায় বাস্তব পরিস্থিতি যে অন্যরকম ছিল তা আজ সবাই জানে। দাবি উঠল শুকনো বা রান্না করা খাবার দেওয়াই যথেষ্ট নয়, ওদের হাতে নগদ পয়সা দেওয়া দরকার। নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ ব্যানার্জি সহ অনেক অর্থনীতিবিদ এই প্রশ্ন তুললেন। কিন্তু 7 এপ্রিলে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি আবেদনকারীর উকিলকে বললেন, শ্রমিকদের খাওয়া-পরার ব্যবস্থা তো সরকার করেছে তাহলে টাকা কেন চাই?[2]
যখন মালগাড়িতে কাটা পড়ে বা ট্রাক উলটে বা চাপা পড়ে বহু শ্রমিকের মৃত্যুর খবর আসছে তখন মে 15 তারিখে কোর্ট আরেকটি জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে বলল যে পরিযায়ী শ্রমিকদের দেশজুড়ে এই যাতায়াত এবং তার পরিণতির উপর নজরদারি কোর্টের পক্ষে অসম্ভব, এটা সরকারের কাজ।[3]
যদিও কোর্ট বিগত 11 মে তারিখে একটি মামলায় (সিভিল অ্যাপিল 4070/2016) রাজস্থানের একটি প্রাচীন মন্দিরের সৌন্দর্য্যকরণ এবং বাগান তৈরির নজরদারির দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে।[4]
আগে যখন লোকে নিজের রাজ্যে ফেরার চেষ্টা করেছে তখন পেয়েছে পুলিশের লাঠি। লকডাউনের তৃতীয় পর্যায়ে সবাই অনুমতি পেল নিজের রাজ্যে ফেরার। ব্যস, সবাই ভাবল মরতে হয় তো নিজের ঘরে গিয়ে চেনা লোকজনের মধ্যে মরি। টিভি চ্যানেলের দৌলতে আমরা জানলাম কীভাবে লোকজন পায়ে হেঁটে, সাইকেলে বোঝাই ট্রাক এবং বাসের মাথায় চড়ে ঘরে ফিরতে চেষ্টা করছে এবং এর ফলে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মারা গিয়েছে প্রায় দেড়শ’ শ্রমিক। কেন্দ্রীয় সরকার চাপে পড়ে শ্রমিকদের ঘরে ফেরার জন্যে স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করল। কিন্তু ভাড়া কে দেবে তা নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের চাপান উতোরে গোটা পরিবারের ভাড়া শ্রমিককেই বহন করতে হল। রেলওয়ে ওদের থেকে নন-এসি কোচে সুপারফাস্ট চার্জ 30 টাকা এবং রিজার্ভড বার্থ চার্জ 20 টাকা অতিরিক্ত আদায় করল। রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান ভি কে যাদব বললেন, এটা অনেক ভেবে করা হয়েছে। না হলে ভিড় লেগে যেত।[5]
তারপর কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ এল যে টিকিটের দামের ভার কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার যথাক্রমে 85 শতাংশ ও 15 শতাংশ হারে বহন করবে। শ্রমিক ট্রেন চলা শুরু হয়েছে। কিন্তু ঝগড়া এখনও থামেনি। কর্ণাটক হাইকোর্টে রাজ্য সরকারের রেলভাড়া বহন করতে অস্বীকার করা নিয়ে মামলা শুরু হয়েছে।[6] ভারতীয় রেলমন্ত্রকের ঘোষণা অনুযায়ী 15 মে মাঝরাত্রি পর্যন্ত 1074 শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের দৌলতে 14 লাখ আটকে পড়া শ্রমিক নিজ নিজ এলাকায় ফিরতে পেরেছেন।[7]
ইতিমধ্যে 12 মে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করলেন তাঁর বহুপ্রতীক্ষিত রিলিফ প্যাকেজ। ওঁর ঘোষণার এবার মূল ধুয়ো ছিল ‘আত্মনির্ভর ভারত’। COVID-19 সঙ্কটকে একটা সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করে দেশের অর্থনীতি এবার নিজের পায়ে দাঁড়াবে— হাঁটি হাঁটি পা পা করে নয়, ‘কোয়ান্টাম জাম্প’ মেরে। আরও বললেন এই প্যাকেজের মূল্য হল 20 লক্ষ কোটি বা 20 ট্রিলিয়ন টাকা যা কিনা মোটামুটি আমাদের জিডিপি’র 10 শতাংশ। হৈচৈ পড়ে গেল। উনি আরও বললেন যে এই পথে চললে 21 শতাব্দী হবে ভারতের। আমাদের ‘ভোকাল’ ফর ‘লোকাল’ হওয়া উচিত।
সবই চমৎকার, তবে খটকা লেগেছে তিনটে কথায়।
এক, এই শতাব্দীর গোড়ায় কম্পিউটারের Y2k bug সমস্যার সমাধান করতে ভারত নাকি গোটা বিশ্বকে পথ দেখিয়েছিল। কিন্তু ন্যাশনাল জিওগ্রাফি এবং উইকিপিডিয়া বলছে যে এর জন্য ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের টাকায় মার্চ 1999- এ ওয়াশিংটনে 'দি ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন সেন্টার' খোলা হয়েছিল যা সফল ভাবে বিভিন্ন দেশে এ নিয়ে রিসার্চ ও স্টেপগুলো মনিটর করে। 2000 সালের মার্চ মাসে সংস্থাটি বন্ধ করে দেওয়া হয় ।
দ্বিতীয়ত, প্রধানমন্ত্রী চল্লিশ মিনিটের বক্তৃতায় একবারই মাত্র পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা উল্লেখ করে বললেন, ওঁরা অনেক ‘ত্যাগ ও তপস্যা’ করেছেন। কিন্তু ত্যাগ ও তপস্যা তো মানুষ অন্তরের গভীর অনুপ্রেরণা থেকে করে। এরা তো বৌ-বাচ্চার হাত ধরে প্রাণের আনন্দে 40 ডিগ্রি গরমে রাস্তায় বেরোয়নি। অসহায় হয়ে বেরিয়েছে, পরিস্থিতি বাধ্য করেছে।
তিন, নিন্দুকে বলছে মোদীজির 20 লক্ষ কোটি সাহায্য নাকি সঠিক চিত্র দিচ্ছে না । এতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আর্থিক ব্যবস্থা, মানে সরকারি ব্যাঙ্ক ইত্যাদিতে আগেই দেওয়া 8 লক্ষ কোটি টাকা এবং কিছু শুধু ব্যাঙ্ক ব্যাবসায়ীকে লোন দিনে তাতে সরকারের জামানত পড়ার প্রতিশ্রুতি সব ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর কৃষকদের বছরে 2000 টাকা করে তিন কিস্তিতে সহায়তা দেওয়া, বিধবাদের দু’মাস 500 টাকা করে দেওয়া, জনধন খাতায় 1000 টাকা করে দু’মাস জমা করা এসবের অর্ধেক গতবছরের বাজেটেই ছিল এবং অনেকটাই বিত্তমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের 26 মার্চ 2020- তে দেওয়া 1.70 লাখ কোটি টাকার প্রথম প্যাকেজের মধ্যে ছিল । বাস্তবে এই প্যাকেজে কাজ হারানো গরিব মানুষকে সরকারের রাজকোষ থেকে সাহায্য বলতে ওই তিনমাস প্রতি ব্যক্তি 5 কিলো চাল বা আটা এবং প্রতি পরিবার 1 কিলো ছোলার ডাল দেওয়া। ফলে রাজকোষ থেকে খরচা আদৌ 20 লাখ কোটি বা জিডিপির 10 শতাংশ নয়, বরং মেরে কেটে 3 বা 4 লাখ কোটি টাকা বা জিডিপির 1.5 বা 2 শতাংশ মাত্র ।
ব্যস, লেগে গেল ধুন্ধুমার।
কেউ বলছে দারুণ চাল দিয়েছেন সরকার বাহাদুর। গরিবের হাতে টাকা দিলে বা বসিয়ে খাওয়ালে তাদের ভিখিরি বানানো হয়, আত্মসম্মান নষ্ট করা হয় । তারচেয়ে শিল্পপতি এবং ব্যবসায়ীদের হাতে টাকা দিলে কাজকর্ম শুরু হবে গরিবেরা চাকরি ফিরে পাবে, বকেয়া মাইনে পাবে, এইভাবে তাদের হাতে পয়সা আসবে ঠিকই, কিন্তু মালিকের হাত ফেরতা হয়ে। এতে সবারই লাভ, সে কিছু বিদ্যেবোঝাই বাবুমশাই যাই বলুন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী কয়েকবছর আগেই বলেছিলেন “হার্ডওয়ার্ক ইজ মাচ মোর পাওয়ারফুল দ্যান হারভার্ড”।[8]
সরকার কি মানুষের ট্যাক্সোর পয়সায় দানছত্র খুলবে? নোট ছাপাবে? একেবারে লাগে- টাকা -দেবে- গৌরী সেন? এই দুঃসময়ে সরকারের কাছে টাকা কোথায়? তাই তো কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে যে সরকারের কোষাগারে চাপ বাড়ছে। তাই ফেব্রুয়ারি মাসে ডিএ 17 শতাংশ থেকে বেড়ে 21 শতাংশ হলেও এই 4 শতাংশ একবছর ধরে মানে 2020-21 পর্যন্ত দেওয়া যাবে না। এতে 48 লাখ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারি এবং 65 লাখ পেনশনভোগীরা যতই শাপমন্যি করুন না কেন![9]
শুরু হল শব্দকল্পদ্রুম। খবরের কাগজ ও চ্যানেলের দৌলতে আমরা শুনলাম অনেক নতুন নতুন শব্দ—জিডিপি, ডেফিসিট বাজেট, ফিসক্যাল ডেফিসিট, রেপো রেট, রিভার্স রেপো, এম এস এম ই, ডেট ফাইনান্সিং, বন্ড, মনিটাইজিং অফ ডেট, এফ আর বি এম অ্যাক্ট, আরও কত কী!
আমাদের মত ইতরজন সাধারণতঃ এমন ঝামেলায় পড়লে মহাজনদের শরণ নেয়, যেমন ডাক্তারবাবু যা বলেন। কিন্তু এখানে মহাজনেরাও যে দু’দলে বিভক্ত। কেউ বলেছেন নোট ছাপিয়ে গরিবদের হাতে পয়সা দাও, আগে ওরা খেয়ে বাঁচুক।
অন্যদল হাঁ-হাঁ করে উঠছেন, খবরদার না। একবার নোট ছাপানোর মত শর্টকাট অভ্যাস হয়ে গেলে সরকার যখন তখন আপনা-হাত-জগন্নাথ করে নোট ছাপাতে লেগে যাবে । ফলে বাজারে জিনিসপত্রের অনুপাতে টাকার ছড়াছড়ি হবে। একেবারে ‘দেবীর নৌকায় আগমন, ফলং প্লাবন, শস্যহানি, প্রাণহানি। মানে রান-অ্যাওয়ে ইনফ্লেশন বা লাগামছাড়া মুদ্রাস্ফীতি হয়ে টাকার দাম হবে খোলামকুচি।
আমরা কী করব? আমরা সবগুলো মত, সবরকম প্রাসঙ্গিক তথ্য, ইতিহাসের সাক্ষ্য নেড়েচেড়ে দেখব। কঠিন কঠিন শব্দগুলো এবং যুক্তিজালের জট ছাড়িয়ে টাকা ছাপানোর মোহ আবরণ সরিয়ে ফেলব। কথা দিচ্ছি, পথের শেষে বোঝা যাবে যে এসব কোনও রকেট সায়েন্স নয়। তাই আলোচনাটা হবে কয়েক কিস্তিতে; যেমন এর পর থেকে 2. ‘মা যা ছিলেন’– মানে করোনার আগে ভারতের অর্থনীতি কোথায় দাঁড়িয়ে ছিল, 3. ‘মা যা হইয়াছেন— করোনার পরের হাল হকিকত, 4. ‘বাজেট রহস্য’– এতে আমরা কত ট্রিলিয়নের মালিক এবং কঠিন শব্দগুলোর মানে বুঝে নেব, 5. মহাজনবাণী– মানে ইকনমিক্স নামের শাস্ত্রটির ঋষিরা (অ্যাডাম স্মিথ, মার্ক্স, কেইন্স এবং আজকের অমর্ত্য সেন, অভিজিৎ, রঘুরাম রাজন, টমাস পিকেটি প্রমুখ) সরকারের নোট ছাপানো বা ধার করে দেশ চালানো নিয়ে কী কী বলেছেন। এরপর 6 নম্বর বা শেষপর্বে থাকবে প্রধানমন্ত্রীর ‘আত্মনির্ভর ভারত’ প্যাকেজের বিশ্লেষণ।
(চলবে)
তথ্যসূত্র:
------------------------------------------
[1] ভেঙ্কটেশ নায়েকের 21 এপ্রিল 2020 পিটিশন ও তার উত্তর।
[2] স্ক্রোল.ইন 18 মে, 2020।
[3] ঐ ।
[4] ঐ ।
[5] ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, 4 মে, 2020।
[6] ঐ, 20 মে, 2020।
[7] হিন্দুস্থান টাইমস, 16 মে, 2020।,
[8] দি ইকনমিক টাইমস, 1 মার্চ, 2017।
[9] ঐ, 23 এপ্রিল, 2020।