আমাদের সবার জীবনেই কিছু আদর, ভালবাসার জিনিস থাকে, যেগুলো কোনও কিছুর বিনিময়েই আমরা আমাদের কাছছাড়া করতে রাজি থাকি না। কিন্তু একটা সময় আসে যখন আমার স্ব-ইচ্ছায় সেই জিনিস অন্য কারও হাতে তুলে দিই উত্তরাধিকার সূত্রে বা কোনও ভবিষ্যতের মূল্য হিসেবে।
দ্যা মিনিয়েচারিস্ট অফ জুনাগড় সিনেমায় দেখা যায় হুসেন সাব (নাসিরউদ্দিন শাহ) একজন মিনিয়েচারিস্ট। তিনি নবারের দরবারে শ্রেষ্ঠ মিনিয়েচারিস্ট ছিলেন। তাঁর গোটা জীবনটাই মিনিয়েচার এঁকে কেটেছে। সেটা ছাড়া তিনি কিছুই বোঝেন না। আর এত নিখুঁত কাজ করতে করতে তিনি একসময় তাঁর দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন। তাতে অবশ্য তাঁর আক্ষেপ নেই। তিনি এটাকে পুরষ্কার মনে করেন। জুনাগড়ের বাড়িতে তিনি তাঁর স্ত্রী (পদ্মাবতী রাও) এবং কন্যা নূরকে (রশিকা দুগল) নিয়ে থাকেন। কিন্তু ভারতের পার্টিশন হয়ে যাওয়ার ফলে তাঁরা এই বাড়ি কিশোরীলালের কাছে বেচে পাকিস্তান চলে যাচ্ছেন। রেখে যাচ্ছেন শুধুই স্মৃতি। কিশোরীলালের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল বাড়ি, বাড়িতে থাকা প্রতিটা জিনিস, আসবাবপত্র তিনি কিনবেন। কিন্তু এই বিষয়ে হুসেন সাহেবের স্ত্রী একটু আপত্তি জানান, তিনি বলেন তাঁর স্বামীর কিছু মিনিয়েচার আর গ্রামোফোন নিয়ে যেতে চান। কিন্তু কিশোরীলাল সম্মত হন না। উল্টে আঁকাগুলো দেখতে চান। দেখতে গিয়ে দেখেন সেগুলো সব ফাঁকা ক্যানভাস। তখন নূর তাঁকে জানায় তারা বাধ্য হয়েছে বাবার সব আঁকা বিক্রি করতে। টাকার জন্য, সংসার চালানোর জন্য তারা সেইসব ছবি বিক্রি করেছে। বাবার প্রিয় জিনিসগুলো কেড়ে নিয়েছে। কিন্তু বাবা জানে না সেসব, কারণ তিনি চোখে দেখেন না। অথচ প্রতিটা আঁকার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা সব স্মৃতি তাঁর মনে আছে। তিনি সেই গল্প বলে চলেন। একটা ছবি ছাড়া। সেটা তিনি কাউকে দেখান না। এরপর একদিন মধ্যরাতে হুসেন সাহেব তাঁর পরিবার নিয়ে ভিনদেশের জন্য পাড়ি দেন তাঁর সব ছেড়ে। কিশোরীলালকে দিয়ে যান চাবি আর একটা ছবি, যদি কোনওদিন এই দেশে ফিরতে পারেন, তাহলে এই বাড়িটা কিশোরীলালের থেকে তিনি আবার কিনতে চান। সেটারই আগাম মূল্য হিসেবে সেই ছবি দিয়ে যান। কী আছে সেই ছবিতে, যেটা এই গল্পের মোড় ঘুরিয়ে দেয় সেটা নিয়েই এই ছবি। শেষে দেখা যায় আপাদমস্তক মুসলিম বিদ্বেষী কিশোরীলাল কী ভাবে বদলে যায়।
নাসিরউদ্দিন শাহের অভিনয় বরাবরের মতোই অনবদ্য। তাঁর মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন রশিকা দুগল তিনিও দারুন অভিনয় করেছেন। গল্পটি দর্শকদের মন ছুঁয়ে যাবে, বিশেষ করে শেষ দৃশ্য। একটু অন্য ভাবে দেশভাগের যন্ত্রণার ছবি তুলে ধরা হয়েছে এই গল্পে।
মৃত্যুর আগে কী ঘটে, মানুষ কী দেখে সেই আভাস দিল এই গবেষণা।
স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ, সরকারি লালফিতের ফাঁসে আটকে হালপাতালের পাওনাও
অলিন্দ যুদ্ধের ইতিহাস যেন বইয়ের পাতা থেকে উঠে জীবন্ত হয়ে উঠেছিল।
ডায়মন্ড হারবারে মিলেছে প্রাণিবিদদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জীবন্ত জীবাশ্ম এক ধরনের মাছ
শহরের আনাচ কানাচে খোঁজ পাওয়া যায় রমা সর্দারদের যাঁরা নিজের শর্তে বাঁচেন।
পরিস্থিতি নাকি বয়স, কে আমাদের বড় করে তোলে?