আমরা আজীবন যে মানুষটার জন্য ছুটে মরি, বা যার জন্য গোটা জীবনটাই বদলে যায়, তাকে কিন্তু আমাদের আর পাওয়া হয়ে ওঠে না অধিকাংশ সময়ই। অথচ সে ভাল থাকে। আর আমরা? একে একে নিজেদের স্বপ্ন ইচ্ছেগুলো বিসর্জন দিই। ঠেকে শিখি। আর তারপর? ফিরে আসি নিজের কাছেই। এসডি দের লেখা এবং নির্দেশনায় ‘বাদল দাস’ সিনেমাটি এই কথাগুলোই যেন বলে গেল।
বাদল একজন গ্রামের ছেলে। তার বাবা গ্রামের স্কুলে ঘণ্টা বাজায়। নিচু জাতের মানুষ হয়েও বাদল দুঃসাহস দেখায় ব্রাহ্মণের মেয়েকে ভালবাসার, তাও আবার স্কুলের হেডমাস্টারের মেয়ে। বাদলের মা নেই, তার আর তার বাবার সংসার। আর চার পাঁচটা ছেলের মতোই তার পড়তে অত বেশি ভাল লাগত না। কিন্তু প্রেমিকাকে নিয়ে ঘুরতে ভাল লাগত। দু’জনে স্কুলের আগে পরে, বা কোনওদিন স্কুল কেটে চাষের ক্ষেতে বা সাইকেলে চড়ে ঘুরতে ঘুরতে সময় কাটাত। গল্প করত। কিন্তু এরই মধ্যে বিষয়টা জানাজানি হয়। এবং ফলস্বরূপ বাদলের বাবাকে হেনস্থা করা হয়, বাড়ি এসে মেয়েটির বাড়ির লোক নানান কথা শুনিয়ে যায়। বাদলকে তার বাবা মারে, যা এর আগে কখনও হয়নি। বাবাকে করা অপমান এবং গোটা ঘটনায় রাগ করে বাদল গ্রাম ছেড়ে কলকাতা চলে আসে। এসেই আলাপ হয় ঋষির সঙ্গে। ঋষি বড়লোক বাড়ির ছেলে। কিন্তু দু’জনের দারুন ভাব হয়। সেই বাদলের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে। সঙ্গে আলাপ করায় টোটকা বলে এক মাদক বিক্রেতার সঙ্গে। বাদল ধীরে ধীরে শহরের সেরা মাদক সাপ্লায়ার হয়ে ওঠে। পয়সা জমায় প্রচুর। কিন্তু বাড়িতে সে টাকা পাঠালে বাবা নিতে অস্বীকার করে। তখন ধীরে ধীরে সে সেই পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় আসে। কিন্তু একদিন এমন ঘটনা ঘটে, যা আবার তাকে তার অতীতের সামনে দাঁড় করিয়ে দেয়। আবারও তাকে বাধ্য করে তার সাজানো জীবন ছেড়ে পালাতে। গল্পের শেষে বাদল তার গ্রামে বাবার কাছে ফিরে আসে আবারও। কিন্তু কী হয়েছিল এমন? সেটাই এই নাটকটা দেখলেই বোঝা যাবে।
আরও পড়ুন: প্রিয় বন্ধু আবার
এই গল্পে দেখা যায় বাদল, ঋষি এবং টোটকার নিখাদ বন্ধুত্ব। দেখা যায় জীবনের কিছু সত্য কথা। বাদল আর তার বাবার মিষ্টি সম্পর্ক। আর ঋষির কথায় ধরা পড়ে এক দারুন কথা, ‘মানুষ খুঁজছিস ভাই? মানুষ তো হারায় না মানুষ বদলে যায়।‘ ঋষি আর বাদলের বন্ধুত্ব, একে অপরের ভরসা দেখে দর্শকের চোখে জল আসতে বাধ্য। গল্পের বুনন খুব সুন্দর। একইরকম সুন্দর এই গল্পে ব্যবহৃত গান দু’টি। ক্যামেরার কাজ ভীষণ ভাল। এক কথায় বাদল দাসের গপ্পো, থুড়ি জীবন কাহিনী দর্শকের ভাল লাগবেই।
অলিন্দ যুদ্ধের ইতিহাস যেন বইয়ের পাতা থেকে উঠে জীবন্ত হয়ে উঠেছিল।
প্লাস্টিক দূষণ জলজ জীব তো বটেই মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীদেরও ক্ষতি করছে।
উপকূল অঞ্চলের বিপদ বাড়ছে দিনদিন, ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা এবং বড় বড় শহরের সমূহ বিপদের আশঙ্কা
গ্যালাক্সির মাঝখান থেকে রহস্যময় রেডিও সঙ্কেতের পিছনে কি বুদ্ধিমান প্রাণী?
যেন গায়ের রং কালো হলে কাউকে দেখতে সুন্দর হতে পারে না।
জীবন কোন দিকে প্রবাহিত হবে তার দিকনির্দেশ শৈশবেই ঠিক হয়ে যায়