দীর্ঘদেহী। ৬ ফুট ৩ ইঞ্চির কাছাকাছি লম্বা। তার সঙ্গে মানানসই চেহারা। কটা চোখের চাহনিতে একটু সতর্কতার ছাপ। পোশাক এবং গড়ন দেখে যে কেউ একবাক্যে বলবেন, মধ্য বয়সি এই ভদ্রলোক আফগানিস্তানের বাসিন্দা। এক কথায় কাবুলিওয়ালা। নাম নইম উদ্দিন।
আমার মধ্যবিত্ত ছাপোষা বাঙালি চেহারার সামনে যেন একটা বড় মানুষের দেয়ালের মতো। দিন দু’য়েকের ছুটি পাওয়ায় পরিবারের কাছে বোলপুরে যাচ্ছিলাম। এসপ্ল্যানেড থেকে দুপুরে বাসে করে যাওয়া স্থির করি। বাসে ওঠার পর স্ত্রীকে ফোন করে কথা বলছিলাম। ছেলে ঘুম থেকে উঠে যাওয়ায় ভয়েস কল পাল্টে যায় ভিডিও কলে। কথার বলার মাঝে মাঝে সম্পূর্ণ অযাচিত ভাবে দীর্ঘ দেহ বেশ খানিকটা ঝুঁকিয়ে প্রায় আমার মাথার কাছে এনে ফোনের স্ক্রিনে চোখ রাখছিলেন নইম উদ্দিন।
স্ত্রী এক সময় বিরক্ত হয়ে জিজ্ঞাসা করেন, ‘কে উনি? বার বার মাথা ঝুঁকিয়ে দেখছে।’ আমিও খানিক সতর্ক হয়ে পেছনে ঘুরে তাকাই। দেখি একটু অপ্রস্তুত হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন নইম। তাকানোর পর ধীর পায়ে নীজের সিটে গিয়ে বসলেন। বাস ছাড়তে তখনও খানিক সময় বাকি। সিট ছেড়ে উঠে এলেন নইম। জিজ্ঞাসা করলেন, ‘আপনার ছেলের নাম কী?’ বললাম, ‘ঋষাণ।’ শোনার পর আবার চলে গেলেন সিটে।
বায়োস্কোপওয়ালা ছবির একটি দৃশ্যে ড্যানি ডেনজংপা
কাবুলিওয়ালাদের সঙ্গে বাঙালির সম্পর্ক কয়েক শতকের। তপন সিনহার কাবুলিওয়ালা থেকে হাল আমলের দেব মেধেকারের বায়োস্কোপওয়ালা, সিনেমার থিম একই থেকে গিয়েছে। পরিবার-সন্তানকে বাড়িতে রেখে হাজার হাজার কিলোমিটার দূরের কোনও শহরে গিয়ে উপার্জনের আশায় দিনের পর দিন কাটিয়ে দেওয়া। রবীন্দ্রনাথের রহমত সে সময় মেয়ের একখনি হাতের ছাপ সঙ্গে করে এনেছিল। অবসর সময়ে একান্তে ওই ছাপটি দেখেই ছোট্ট মেয়ের কথা মনে করত সে।
একশো বছরে দুনিয়া বদলে গিয়েছে, কাগজের ওপর হাতের ছাপের বদলে মোবাইলের স্ক্রিনে লাইভ ছবি এসেছে। রহমত হোক বা নইম উদ্দিন, বাবার মন একই রয়ে গিয়েছে।
আসলে করোনা ঠেকানোটা একটা উদাহরণ মাত্র। করোনার বদলে অন্য কোনও মহামারী হলেও কেরালায় একই চিত্র দেখা যেত
পাপ-পুণ্যের পরিভাষা বুঝতে গোটা জীবন কেটে যায়। এ কথাটি সম্যকভাবে বোঝার জন্য সিনেমাটি একবার অন্তত দেখব
লেপ্টারু ইন্টেলেকচুয়ালদের নিয়ে এই হয়েছে সমস্যা। ভাঙবে তবু মচকাবে না। খালি বলে, কোথায় বাড়ল GDP!
এ বার নিজের দফতরের দায়িত্ব নিচ্ছেন দিয়েগো... এল দিয়েগো... দ্য গ্রেট দিয়েগো...
যারা প্রদেশের নামে, ভাষায় নামে, জাতের নামে, বর্ণের নামে, ধর্মের নামে, এমনকী পছন্দের খেলোয়াড়ের নামেও
গোবলয়ের ফিউডাল মানসিকতার মাঝে বাড়ির মেয়েরাই বা কতটা নিরাপদ? ঘরের বাইরের কথা না হয় বাদই দেওয়া গেল!