নিয়তি প্রচণ্ড অসহায়। একটু একটু করে চারপাশটা শেষ হয়ে যেতে দেখছে। চারিদিকে শুধুই মৃত্যুভয়, হাহাকার। একটু অক্সিজেনের চাহিদা, একটা বেডের চাহিদা। কিন্তু কোথায় সেসব? কিচ্ছু নেই, কিচ্ছু না। ভেঙে পড়ছে নিয়তি। ওর হাতে যে কিছুই নেই। সবই আজ অর্থবান, ক্ষমতালোভী মানুষের করায়ত্ত।
রাজধানীতে প্রধানমন্ত্রীর নতুন বাসভবন তৈরি হচ্ছে। সাজ চলছে মহাসমারোহে। কোথাও যেন এতটুকু ফাঁকি না থেকে যায় সে বিষয়ে কড়া নজরদারি চলছে। আর নিয়তির সহনাগরিকদের কী অবস্থা? কে ভাবছে তাদের কথা?
দেশনেতাদের জন্য আলিশান ভবন তৈরি হচ্ছে, আর নিয়তি অসহায় ভাবে তাকিয়ে দেখছে সাধারণ মানুষগুলোর সৎকার করার জায়গাটুকু অবধি নেই। কাঠ নেই, কবর দেওয়ার জায়গা নেই, কিচ্ছু নেই। বাঁচার জন্যও আর কিছু অবশিষ্ট নেই, মৃত্যুর পর বৈতরণী পার করার জন্যও কিছু নেই। তাই বোধহয় তাদের জায়গা সোজা গঙ্গার কোলে হয়েছে। স্বয়ং গঙ্গাই হয়তো তাদের স্বর্গে নিয়ে যাবে।
নিয়তি দেখছে, নিয়তি ঠায় পাড়ে বসে দেখছে, উত্তরপ্রদেশ, বিহার একের পর এক জায়গায় ছুঁড়ে ছুঁড়ে তার সহনাগরিকদের লাশ গঙ্গায় ফেলে দেওয়া হচ্ছে। ভেসে উঠছে সেই লাশ। মা গঙ্গা তো সব পাপই বহন করে চলেন, হয়তো এক্ষেত্রেও তাই করবেন! কে জানে! তবে নিয়তি আর সহ্য করতে পারছে না এই দৃশ্য। শিউরে উঠছে। ঘেন্নায় গা গুলিয়ে উঠছে। রাগ ধরছে। কিন্তু নিয়তি অসহায় আজ। তার হাত পা বাঁধা, সহ্য তাকে করতেই হবে, যতদিন না সুসময় আসে। যতদিন না সময় পাল্টায়। যতদিন না সময় তাকে নিষ্কৃতি দেয়।
করোনার টিকা হয়নি অথচ স্কুলে যেতে হচ্ছে এমন ছোটদের অভিভাবকদের দুশ্চিন্তার অবসান এবার।
ভূত চতুর্দশী নিয়ে উন্মাদনা আজ আর নেই, রমরমিয়ে বাড়ছে সাহেবেদের আদলে হ্যালোউইনের পার্টি।
বিজেপি সরকার চাইছে আগামী লোকসভার বছরেই আদমশুমারি প্রকাশ করতে। কিন্তু কেন?
কোভিড হয়ে হাসপাতালে ভর্তি, নরক যন্ত্রণা ভোগ ও কার্যত বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু।
সমস্ত প্রাপ্তবয়স্কের কোভিড টিকা শুরু হলে রক্তদাতা মিলবে না।