অনেকেই কথায় কথায় বলেন, ‘নরকেও জায়গা হবে না’! এ বার মনে হচ্ছে সেই কথাই সত্যি হতে চলেছে! নরকের দ্বার যে এ বার পাকাপাকি বন্ধ হতে যাচ্ছে।
তুর্কমেনিস্তানের নরকের দ্বার বা দারওয়াজা গ্যাস গহ্বর (Darvaza Gas Crater) বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেখানকার প্রেসিডেন্ট গুরবাঙ্গুলি বার্দিমুখামেদভ।
কী এই নরকের দ্বার?
1971 সালে সোভিয়েত ভূতত্ত্ববিদরা খনিজ তেলের সন্ধান করছিলেন। তখন এই জায়গার খোঁজ পান তাঁরা। খনিজ তেলের আশা করে প্রাকৃতিক গ্যাস চেম্বারের সন্ধান পান। তখনই খনন কাজ চালানোর সময় অনেকটা জায়গা ধসে গিয়ে এক বিশাল আকারের গর্ত তৈরি হয়। সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণে গ্যাস বেরোতে শুরু করে। গ্যাস থেকে আশপাশের মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়বেন এই আশঙ্কা করে ভূতত্ত্ববিদরা সেই গর্তে আগুন ধরিয়ে দেন। তাঁরা মনে করেছিলেন, কয়েক সপ্তাহেই এই আগুন নিভে যাবে। কিন্তু শেষ পঞ্চাশ বছরেও এই আগুন নেভেনি। 229 ফুট চওড়া, 66 ফুট গভীর এই গহ্বরে আজও আগুন জ্বলে চলছে। এই ‘নরকের দ্বার’ 5350 বর্গমিটার অংশ জুড়ে আছে।
অনেকে আবার মনে করেন, 1960 সালে এই গহ্বর কোনও অজানা কারণে তৈরি হয়েছিল। 1980 সালে অদ্ভুত ভাবে নিজে থেকেই সেখানে আগুন জ্বলে ওঠে। এর নেপথ্যে নাকি রাশিয়ানরা নেই।
আরও পড়ুন: ঠান্ডা হোক বা বৃষ্টি, গন্ডগোলের মূলে লা নিনা
কেন বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে?
শেষ পঞ্চাশ বছর ধরে জ্বলে চলেছে নরকের দ্বার। বহু পর্যটক তুর্কমেনিস্তানে যান এই নরকের দ্বারের টানে। কিন্তু এটি যেমন এক দিকে পর্যটকদের আকর্ষণ করে তেমনই স্থানীয় মানুষের ক্ষতিসাধন করছে। এত দিন ধরে এক ভাবে মিথেন গ্যাস পুড়ে চলার কারণে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। গন্ধ, ধোঁয়া, ছাইয়ের সমস্যা তো আছেই। পাশাপাশি, স্থানীয়দের স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি হচ্ছে। তুর্কমেনিস্তান তার এই বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদ যথাযথ ভাবে কাজেও লাগাতে পারছে না। তা একপ্রকার ধ্বংস হচ্ছে, অথচ এই গ্যাস ব্যবহার করে তাদের অর্থনীতিতে বদল আনা যেত বলেই মনে করছেন সেখানকার প্রেসিডেন্ট। তাই তিনি নির্দেশ জারি করেছেন, যে ভাবেই হোক দ্রুত এই দারওয়াজা গ্যাস গহ্বর বন্ধ করে দিতে হবে। নিভিয়ে ফেলতে হবে আগুন। তাই তিনি বিশেষজ্ঞদের মতামত চেয়েছেন কী ভাবে নেভানো যায় এই গর্তের আগুন। দরকারে তিনি বিদেশি পরামর্শদাতাদের মত নেবেন বলেই জানিয়েছেন, কিন্তু দেশের বা দেশবাসীর আর ক্ষতি হতে দেবেন না। তাই যত দ্রুত সম্ভব এই আগুন নিভিয়ে ফেলা হবে। চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে পৃথিবীর নরকের দ্বার।
জীবনের কিছু সার সত্য কথা গল্পের আকারে তুলে ধরা হয়েছে।
ভোট উৎসবে বাঙালির নতুন সঙ্গী রাজনৈতিক মিষ্টি।
অঙ্ক আর ফিজিক্স ছাড়াও ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার প্রস্তাব প্রত্যাহার AICTE-র।
রাজ্যটা এখন চিড়িয়াখানা নাকি সার্কাসে পরিণত হয়েছে তা নিয়ে অনেকের মনেই ধন্দ।
মৃত্যুর পর কি সব আত্মাই মুক্তি পেয়ে যায় জাগতিক সমস্ত বন্ধন থেকে?
যৌবনের স্বপ্নগুলো বাস্তবের মাটিতে আছাড় খেয়ে ভেঙে জীবন এগিয়ে গেলেও মনে থেকে যায় সেই সোনালী দিন।